
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ও জনজীবন ধ্বংসের মুখে ফেলেছে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মনির হোসেন। তিনি স্থানীয় জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বালু ব্যবসা, ফলে এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়, মাটি ও বায়ুদূষণ, রাস্তা-ঘাট ভাঙন এবং ভূগর্ভস্থ পানির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে এলাকার কৃষিজমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে, মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে পড়ছে। সারারাত বালুর গাড়ির শব্দে ঘুমাতে পারছে না স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনিরের প্রভাবের কারণে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। মাঝে মাঝে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে যন্ত্রপাতি জব্দ বা পুড়িয়ে দিলেও কয়েকদিন পরই আবার শুরু হয় বালু তোলা।
গত ২০ অক্টোবর (সোমবার) সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত পশ্চিম চরজুবিলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বালু তোলার মেশিনসহ মেশিনচালক তাজুল ইসলামকে আটক করে। আদালত তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে।
তবে বালু তোলা চক্রের মূল হোতা মনিরসহ সহযোগী হেদায়েত ও আক্তার হোসেন বাবুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হেদায়েত ও বাবুল সরকারি রাস্তার পাশের জমি থেকে বালু তুলে মনিরের কাছে বিক্রি করছে। ফলে রাস্তা ও আশপাশের বসতি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পশ্চিম চরজুবিলীর রইচ ভুঁঞা বাড়ি, মায়ার বাড়ি ও বলি বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই মাস ধরে অব্যাহত বালু উত্তোলনের কারণে তাদের জমি এখন বিশাল দিঘীতে পরিণত হয়েছে এবং সরকারি রাস্তা জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সচেতন মহলের মতে, আইনের তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে শিগগিরই সুবর্ণচরের বড় অংশ ভুমি ধ্বস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply