মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সীতাকুণ্ডে প্রকল্প উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় কর্মশালা আনন্দ ও সিপ এনজিওর ভূরুঙ্গামারীতে মাওলানা ভাসানীর ৪৯ তম ওফাৎ দিবস পালন। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কি বলল জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে পৃথক দুটি অগ্নিকান্ডে ৮ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি চন্দনাইশে সাঙ্গু নদীতে ডুবে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু ‎ “প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ “ চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ সড়ক দূর্ঘটনায় ঘটনাস্হলে নিহত ১০, গুরুতর আহত ৩০ সীতাকুণ্ডে ইক্‌রা আদর্শ ইসলামী পাঠাগারের উদ্যোগে গুণীজন আমেরিকা প্রবাসীকে সংবর্ধনা বাঙালির প্রাণের উৎসব নবান্ন- কৃষিবিদ মো মুজিব উল্ল্যাহ্ তুষার : সিলেটে ট্রাফিক এডুকেশন নেটওয়ার্কের জনসচেতনামূলক লিফলেট বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে
বিজ্ঞপ্তিঃ

সারাদেশে  প্রত্যেক  বিভাগ,জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগঃ ই-মেইল-Mmdidar7@gmail.com মোবাইলঃWhatsApp&Imo:01878518066 #বিশ্বব্যাপী আপনার প্রতিষ্টান ও পন্যের প্রচার প্রসারে বিজ্ঞাপন দিন

সুবর্ণচরে বালু খেকো মনিরের দৌরাত্ম্য থামছেই না, ধ্বংসের মুখে জনবসতি ও কৃষিজমি

  • আপডেট সময়ঃ শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৩ ভিউ

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশ ও জনজীবন ধ্বংসের মুখে ফেলেছে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি মনির হোসেন। তিনি স্থানীয় জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বালু ব্যবসা, ফলে এলাকায় পরিবেশ বিপর্যয়, মাটি ও বায়ুদূষণ, রাস্তা-ঘাট ভাঙন এবং ভূগর্ভস্থ পানির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে এলাকার কৃষিজমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে, মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং বসতবাড়ি ভাঙনের মুখে পড়ছে। সারারাত বালুর গাড়ির শব্দে ঘুমাতে পারছে না স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মনিরের প্রভাবের কারণে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। মাঝে মাঝে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে যন্ত্রপাতি জব্দ বা পুড়িয়ে দিলেও কয়েকদিন পরই আবার শুরু হয় বালু তোলা।

গত ২০ অক্টোবর (সোমবার) সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আসফার সায়মা নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত পশ্চিম চরজুবিলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বালু তোলার মেশিনসহ মেশিনচালক তাজুল ইসলামকে আটক করে। আদালত তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে।

তবে বালু তোলা চক্রের মূল হোতা মনিরসহ সহযোগী হেদায়েত ও আক্তার হোসেন বাবুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হেদায়েত ও বাবুল সরকারি রাস্তার পাশের জমি থেকে বালু তুলে মনিরের কাছে বিক্রি করছে। ফলে রাস্তা ও আশপাশের বসতি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পশ্চিম চরজুবিলীর রইচ ভুঁঞা বাড়ি, মায়ার বাড়ি ও বলি বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই মাস ধরে অব্যাহত বালু উত্তোলনের কারণে তাদের জমি এখন বিশাল দিঘীতে পরিণত হয়েছে এবং সরকারি রাস্তা জনচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সচেতন মহলের মতে, আইনের তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে শিগগিরই সুবর্ণচরের বড় অংশ ভুমি ধ্বস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024

Theme Download From ThemesBazar.Com
Translate »