
বিশেষ সংবাদদাতাঃ
জানাযায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বনপ্রহরী মেজবাহ উদ্দিন এর বিরুদ্ধে প্রধান বন সংরক্ষক বন অধিদপ্তর, বন ভবন। আগারগাঁও শেরে বাংলা নগর ঢাকা- ১২০৭ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। উক্ত অভিযোগটির স্বাক্ষরকারী, কালুরঘাট রেঞ্জ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ এর ফরেস্ট গার্ড মোঃ আমানুল হক।
উক্ত অভিযোগটির হুবহু কপি নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
বরাবর
প্রধান বন সংরক্ষক বন অধিদপ্তর, বন ভবন। আগারগাঁও শেরে বাংলা নগর ঢাকা- ১২০৭।
বিষয়:
মেজবাহ উদ্দিন, বনপ্রহরীর কতৃপক্ষের এক নজর ও অদৃশ্য শক্তির আড়ালে দুর্নীতির শীর্ষে।
জনাব,,
বিনিত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নলিখিত স্বাক্ষরকারী মোহাম্মদ আমানুল হক, ফরেস্ট গার্ড। কালুরঘাট রেঞ্জ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ, চট্টগ্রাম । আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের শহর রেঞ্জ (হেডকোয়াটার) কর্মরত জনাব মেসবাহ উদ্দিন এর অবৈধ অনৈতীক কর্মকাণ্ডের প্রতি অতিষ্ঠ হইয়া আপনাকে স্মরণ করিতে বাধ্য হলাম।
মেজবাহ উদ্দিন এড়ক হিসাবে ২০০৫ সালের অক্টোবরে চাকরিতে প্রথম যোগদান করেন। দুর্নীতি ও অসদাচরণের কারণে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। অবৈধ পন্থায় ২০১৩ সালে চাকরিতে পুনরায় যোগদান করে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগে ধুমঘাট চেক স্টেশন,করেরহাট চেক স্টেশন ও শহর রেঞ্জে চাকরি করে ৫ (পাঁচ) কোটি টাকার দুর্নীতি করে থাকে, যা তখনকার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
পরবর্তীতে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগে বদলি হয়ে ভালো ভালো পোস্টিং গুলি নিয়ে অবৈধভাবে বনজ দ্রব্য সামগ্রী পাছারে সে লিপ্ত হইয়াছে। কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন খুরিশিয়া রেঞ্জ থেকে পদুয়া চেক স্টেশনে কিভাবে যেতে পারে? পদুয়া স্টেশন থেকে পটিয়া চেকে স্টেশনে কিভাবে যেতে পারে? আবার পটিয়া থেকেই কিভাবে শহর রেঞ্জে আসতে পারে? এসব যদি নীতিমালায় থাকে, তাহলে বাকী বন প্রহরীদের অপরাধ কি? কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই জবাব দিবেন।
বর্তমানে শহর রেঞ্জে এসে চট্টগ্রাম দক্ষিণ এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীদেরকে প্রচন্ডভাবে হয়রানি করিতেছে। গাড়ি প্রতি রেট- হেনু ট্রাক ২০.০০০/- পিকাপ ১০.০০০/- টমটম ৩.০০০/- ভ্যান ১.৫০০/- সেগুন,গর্জন,চম্পাফুল ও সিভিট গাছ হলে আলাদা রেড দিতে হবে অন্যাতাই মামলার হুমকি দিতে থাকে এসব কথার রেকর্ডিং ও ভিডিও বর্তমানে বিভিন্ন সাংবাদিকের কাছে রয়েছে।
যেভাবে টাকা তোলেন নিজস্ব মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার দিয়ে। গত ২৯/৯/২৫ চট্রমেট্রো ট- ১১-২৩৫৫ নং গাড়ি থেকে ১ লক্ষ পঞ্চশ হাজার টাকা ও ১৩/১০/২৫ চট্রমেট্রো ট- ১১-১২৮০ গাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে অবৈধ বনজদ্রব্য বাহি গাড়ি গুলি ছেড়ে দেয়।
জনাব মেজবা স্থানীয় বনপ্রহরী হওয়ায় একছত্রভাবে অন্য রেঞ্জে তার পরিচিত ১/২ জন নিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে পাত্তাই দিচ্ছে না। এমতবস্থায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হলেও তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়।
যে সব স্থান থধ ভাবে কাঠ পাচার করে থাকে:- যথাক্রমে কর্ণফুলি, পটিয়া,বান্দরবান,সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, বাআটানেল মুখ, বাকলিয়া ও ফিরিঙ্গি বাজার।
এসব উপার্জন করে বর্তমানে স্ত্রী সন্তান ও তার নামে-বেনামে ফ্লাট বাড়ি ও নিজের গ্রামের পৌরসভায় মুল্যবান জায়গা ক্রয় সহ অসংখ্য সম্পদের মালিক বনে যায়। যা সরেজমিনে তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।
যেসব ব্যবসায়ীরা তার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতে চাই আংশিক নাম ও মোবাইল নাম্বার সহ নিম্নে প্রেরণ করা হলো।
১/ বাকলিয়া ফুলকপির বড়ো কামাল, ০১৮৭৫০০৪৪৮৯, ২/ছোট কামাল ০১৯৪৫৭৭২১০০, ৩/ সিপন ০১৮৪৯৫৮৮৩০৫ বিস্তারিত বলবে ৪/ ফরিদ ০১৮১৫৬৩১৫০৭,
৫/ ফিরিঙ্গি বাজার এনাম সওদাগর ০১৮১৮৮২৪৬১০, ৬/ মাসুদ সওদাগর ০১৬৩৩৫৯৩৩৪৯, ৭/আরিফ ০১৮৭৯৭৭৪২০২,
৮/ মো: নুরু প্রকাশ নুরাইয়া ০১৮১৯১৭২৫০৯,
৯/ মৌজ্জারটেকের আবছার ০১৮১৯৬২৪০৩২,
১০/ পদুযা কালামিয়া ০১৮১৯৯৪১২৭৫,
১১/ কালো দিদার (কেলিশহর) ০১৮১৯৬৪২৫৯৪,
১২/ কবিরা ০১৮৭৬৭২৮৮৬৬,
১৩/ বেলাল (পটিয়া)০১৮১৯৩১৭৭১৯,
১৪/ নবী (মৌজ্জারটেক) ০১৮১৩ ৮০১৭২৫,
অতএব, অনুগ্রহপূর্ব উপরউল্লেখিত অভিযোগ গুলো সরেজমিনে তদন্ত করিয়া জনাব মেজবাহ উদ্দিনকে দ্রুত অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে আপনার সদয় মর্জি কামনা করছি।
(প্রয়োজনের দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাধারণ ও নিরীহ ব্যবসায়ীদের গণস্বাক্ষর)
বিনীত নিবেদক
মোহাম্মদ আমানুল হক।
ফরেস্ট গার্ড,কালুরঘাট রেঞ্জ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ, চট্টগ্রাম।
WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply