
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর সংলগ্ন গুলিয়াখালী বীচে গত মঙ্গলবার রাতে একটি বিশাল আকারের মৃত ডলফিন ভেসে আসে। পরদিন বুধবার সকাল থেকেই মৃত ডলফিনটি দেখতে স্থানীয় লোকজনের ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কল্লোল বড়ুয়া এবং সহকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
সেখানে তারা মৃত ডলফিনটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডলফিনটি বয়সজনিত কারণে মারা গেছে। ডা. কল্লোল বড়ুয়ার মতে, ডলফিনটির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর, যা এই প্রজাতির ডলফিনের স্বাভাবিক আয়ুষ্কালের কাছাকাছি। তিনি বলেন, এরা সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বাঁচে না। তবে শরীরে কিছু ক্ষতের চিহ্নও পাওয়া গেছে, তাই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
মৃত ডলফিনটির শরীর থেকে মাংস, কলিজা ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডলফিনটি উপকূলীয় বন বিভাগের সীতাকুণ্ড রেঞ্জ কর্মকর্তা রনি আলীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বন কর্মকর্তা রনি আলী জানান, ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির, যারা সাধারণত উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করে। দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কায় ডলফিনটিকে বালুর চরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় বন বিভাগ সাগরে ডলফিন, তিমি, হাঙর ও শাপলাপাতা মাছের মতো সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা দায়িত্বে থাকে।
ডা. কল্লোল বড়ুয়া জানান, তদন্তের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি বার্ধক্যজনিত মৃত্যু। তবে যেহেতু শরীরে ক্ষত রয়েছে, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। আজই প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply