সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:
সীতাকুণ্ডে গৃহবধূসহ এক নৃগোষ্ঠী কৃষি শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া সুরভী আক্তার ইফা (১৬) নামে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ইফা উক্ত ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কাজিপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইফার স্বামী মোঃ হৃদয় হোসেন ঘর জামাই হিসেবে শ্বশুর বাড়ি থাকতেন।
সুরভী আক্তার ইফার পিতা আব্দুল হামিদ বলেন, ভোরে মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ শেষে ঘরে ফিরে দেখেন তার মেয়ে বারান্দায় তীরের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই মোঃ রাসেল মিয়া জানান, খবর পেয়ে বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি। কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়েছে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কহলের জেরে এটা ঘটতে পারে।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বে গভীর পাহাড় থেকে আদোশে মার্মা (৫২) নামে উপজাতীয় নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ (২৬ সেপ্টম্বর) এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের ভাই আচাই মারমা। স্হানীয় আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি পাহাড়ে কৃষি কাজ করতে গেলে তার রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পরিবারকে খবর দেয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ৫ বছর পূর্বে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি হতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম ঘোড়ামারা ৩নং ওয়ার্ড এর দীঘির পাহাড় এর উপরে টং ঘরে বসতি নির্মাণ করে পাহাড়ে বিভিন্ন জনের ক্ষেতে খামারে কৃষি ও দিনমজুরের কাজ করতেন আদোশে মারমা। তার স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান ও কন্যা সন্তান থাকেন খাগড়াছড়িতে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, গভীর পাহাড় থেকে নৃগোষ্ঠী ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেহ গ্রেফতার নেই।
WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply