জসিম উদ্দীন ফারুকী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে এক অন্তঃসত্ত গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিহত ব্যক্তি হত্যার শিকার নাকি আত্মহত্যা করেছেন জানা যাবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
গত ৩১ আগষ্ট রবিবার চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পলিয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২০১৯ সালে একই উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হাশিমপুর ভাণ্ডারী পাড়ার নাছির উদ্দিনের কন্যা মুক্তা আক্তার (২৩) পলিয়া পাড়া নিবাসী সোলাইমানের পুত্র মো. পারভেজ (৩৫)-এর সঙ্গে ইসলামী শরা ও শরিয়তের নিয়মে বিয়ে হয়।
পারভেজ একজন দুবাই প্রবাসী। বিয়ের কয়েক মাস পর পারভেজ সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যান। তাদের এক পুত্র সন্তান আছে, যার বয়স আড়াই বছর।
মুক্তা আক্তার (২৩) মৃত্যুর সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। প্রায় সময় পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। ঘটনার তিন মাস আগে পারভেজ বিদেশ থেকে বাড়িতে আসেন। ঘটনার আগের দিন শনিবার পারভেজ ছেলেকে মারধরের জন্য মুক্তাকে শাসন করেন।
মুক্তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলছে, ঘটনার দিন মুক্তার বাবা-মা, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মুক্তার শ্বশুরবাড়িতে পারিবারিক বৈঠক করেন। বৈঠকের একফাঁকে মুক্তার বাবা নাছির উদ্দিন মেয়েকে শাসন করেন। এতে মুক্তা অপমানবোধ করে বৈঠক ত্যাগ করে নিজ কক্ষে চলে যান।
কিছুক্ষণ পর খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মুক্তাকে তার রুমে বিষাক্ত ঔষধ খেয়ে ছটফট করতে দেখা যায়। দ্রুত বাড়ির সবাই উদ্ধার করে দোহাজারী হাসপাতালে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। রাতে মুক্তার পিতা নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে পারভেজকে ১নং এবং শ্বশুর-শাশুড়িসহ মোট তিনজনকে আসামি করে চন্দনাইশ থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, “গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।”
WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply