বিশেষ প্রতিনিধিঃ
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব শুধু প্রকৃতি বা জীবিকাতেই সীমাবদ্ধ নয় এটি সরাসরি প্রভাব ফেলছে তরুণদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায়। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে সিলেটে দিনব্যাপী বিভাগীয় যুব কর্মশালা অনুষ্টিত হয়।
(২৮ আগস্ট ২০২৫ ) বৃহস্পতিবার পরিবার পরিকল্পনা ভবন বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেট।
সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়
দিনব্যাপী বিভাগীয় যুব কর্মশালা। কর্মশালায় হাওর, পাহাড়, চা-বাগান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণরা অংশগ্রহণ করে তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন।
সুইডিশ উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা সিডা’র অর্থায়ন এবং ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ-এর সহায়তায় সিরাক-বাংলাদেশের আয়োজন করা এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল-জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তরুণদের অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিগত প্রস্তাবনা তৈরি করা।
অংশগ্রহণকারী তরুণরা দলভিত্তিক আলোচনায় জানান, হাওরের বন্যা, পাহাড়ের ভূমিধস কিংবা চা-বাগান এলাকার দারিদ্র্য-এসব কারণে তারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হন। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায়ও।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস. এম. সৈকত। সভাপতিত্ব করেন সিলেট বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক আবু সালেহ মো. ফোরকান উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহিনা আক্তার এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নিয়াজুর রহমান।
স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, বন্যা-প্রবণ এলাকায় নারীদের স্যানিটেশন ও মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি চা-বাগান ও হাওর অঞ্চলের বিশেষ চাহিদাকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আমান উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশই কিশোর-কিশোরী। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন ও নীতিগত পরিবর্তনে এই তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সমাজের মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন ছাড়া কোনো স্থায়ী অগ্রগতি সম্ভব নয়, আর সেই পরিবর্তন আনতে তরুণরাই মূল ভূমিকা রাখতে পারে।
সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস. এম. সৈকত জানান, ‘তরুণদের মতামত সংগ্রহ করে আমরা একটি শ্বেতপত্র তৈরি করব এবং তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রদান করব, যাতে তাদের চাহিদা নীতিনির্ধারণে প্রতিফলিত হয়।
কর্মশালায় তরুণরা কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে মতামত দেন এবং বিশেষজ্ঞরা সেসব থেকে প্রাসঙ্গিক নীতিগত সুপারিশ তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সিরাক-বাংলাদেশের প্রোগ্রাম লিড শাহীনা ইয়াসমিন, ইনোভেশন অ্যান্ড ইয়ুথ স্পেশালিস্ট মো. নাজমুল হাসান, ফাইন্যান্স ও অ্যাডমিন কো-অর্ডিনেটর ওমর ফারুক খান এবং কমিউনিকেশন অফিসার এনামুল হক রনি উপস্থিত ছিলেন।
WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply