মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খুলনার বাজুয়া-খুটাখালী শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সমপন্ন বিশ্বনাথে পুলিশের খাঁচায় আ’লীগ নেতা ওয়াহাব আলী মেম্বার জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান  চন্দনাইশে ২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ১জন আওয়ামী তথ্য পাচারকারী আটক চট্টগ্রামে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস ২০২৫ ও জুলাই বিয়ন্ড বর্ডার উদযাপিত জুলাই বিপ্লব দিবস সফলের লক্ষ্যে সীতাকুণ্ড বিএনপির প্রস্তুতি সভা সুনামগঞ্জের ছাতকে হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন  জুলাই শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ৩৯ নং ওয়ার্ড যুব বিভাগ এলকে সিদ্দিকীর কবর জেয়ারত করলেন আসলাম চৌধুরী চন্দনাইশ পৌরসভার বাজেট ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিঃ

সারাদেশে  প্রত্যেক  বিভাগ,জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগঃ ই-মেইল-Newsdeshy@gmail.com/Mmdidar7@gmail.com মোবাইলঃ 01714430261/01720834962 WhatsApp & Imo:01878518066/00966509665820 #বিশ্বব্যাপী আপনার প্রতিষ্টান ও পন্যের প্রচার প্রসারে বিজ্ঞাপন দিন

রাতের আধারে ভারতে পাচার করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার দেশীয় শিং মাছ

  • আপডেট সময়ঃ রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৪০৯ ভিউ

ছাতক প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বেশ কয়েকটি সীমান্ত পথ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাতের আধারে ভারতে পাচার করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকার দেশীয় শিং মাছ।

ট্রাকের ড্রামে ভর্তি করে নিয়মিত মাছ পাচার করা হলেও স্থানীয় প্রশাসনে নীরবতা লক্ষ্য করা গেছে। আর দেশীয় শিং মাছ চোরাই পথে ভারতে পাচার হওয়ায় স্থানীয় বাজার গুলোতে মাছের সংকটের পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির পক্ষ থেকে অভিযানের কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। তবে মাছ পাচারের বিষয়ে থানা পুলিশ বলছে, বিষয়টি তাদের জানা নেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মদদেই ভারতে নিয়মিত পাচার হয়ে যাচ্ছে এসব দেশীয় মাছ, এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ছাতকের সড়ক ব্যবহার করে সুরমা নদীর সেতু পাড়ি দিয়ে দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০/১৫টি ট্রাকের (পিকআপ) ড্রামের মাধ্যমে শিং মাছ অবৈধ ভাবে ভারতে পাচার করা হচ্ছে।

বিভিন্ন উপজেলার খাল-বিল ও চাষ করা এসব মাছের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা ভারতের স্থানীয় বাজারে। এসব দেশীয় মাছ ভারতে বিক্রি করে দামও ভালো পাওয়ায় পাচারের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

ভারতে পাচার হওয়ার কারণে স্থানীয় বাজারে শিং মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। এলাকার বিক্রেতাদের অধিক মুনাফা লাভের প্রলোভন দেখিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে স্থানীয় সীমান্তবর্তী চোরাকারবারি একটি চক্র। ফলে উপজেলার গ্রামের স্থানীয় হাট-গুলোতে এসব মাছ পাওয়া গেলে দাম অনেক বেশী।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা রুস্তুম আলী, আনোয়ার হোসেন, জিহান মিয়াসহ বেশ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এরা কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে শিং মাছ ক্রয় করে প্রতি পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে প্রতি পিকআপে ৮শ’ থেকে এক হাজার শিং মাছ ড্রামে ভর্তি করে ছাতকের সুরমা সেতু দিয়ে পাড়ি দিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের সীমান্তে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বাজারের কয়েকটি গলিতে নিয়ে মাছ গুলো হাউজে জমা করে রাখা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাত ১০টার পর থেকে পিকআপ ভ্যানের ভেতরে বড় ড্রামে করে শিং বোঝাই করে বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। পিকআপ চালক দিলু মিয়া বলেন, প্রতি পিকআপে ৮শ’ থেকে এক হাজার কেজি শিং মাছ বাংলাবাজারের গোপন আড়তে মজুত করা হচ্ছে। এরপর মাছ গুলো কই যায় তা আমার জানা নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনই বিকেলে ও সন্ধ্যার পর সুবিদাজনক সময়ে সেখান থেকে মাছ গুলো পৌছানো হয় সীমান্তের বিভিন্ন জিরো পয়েন্টে। মাছ পাচারের কাজে সীমান্তের কাঠা তারের বেড়া সংলগ্ন এপার-ওপার দুই পারের শ্রমিকরা এসব মাছ পাচার কাজে সংযোগিতা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন জানান, একটি পিকআপ ভর্তি মাছ ভারতে পাচারে কিছু সোর্সকে ১০ হাজার টাকা ঘুস দিতে হয়, এরপরও প্রতি পিকআপ ভর্তি মাছে ১০/১২ হাজার টাকা মুনাফা হয়। স্থানীয় গ্রাম্য বাজারের হাটে শিং মাছের পাইকারি দর প্রতি কেজি দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা।

আর ভারতে পাচারের পর প্রতি কেজি শিং মাছ বিক্রি হয় আড়াই শত থেকে তিনশত রুপিতে। মাছ পাচারে সব খরচের পরও বেশ ভালো টাকা লাভ করা যায় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনসহ সকল রাস্তা ম্যানেজ করেই এসব মাছ ভারতে পাচার করা হচ্ছে। তবে যারা ভারতে মাছ পাচার করছেন, এবিষয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও মাছ পাচারের বিষয়টি তারা সকলেই অস্বীকার করেছেন।

দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল হাসান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন পিকআপ যোগে শিং মাছ ভারতে পাচারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মাছ পাচারের বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে থানা পুলিশ সব-সময় তৎপর রয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ভারতে দেশীয় মাছ পাচারের বিষয়ে খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024

Theme Download From ThemesBazar.Com
Translate »