মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মামলা পরিচালনায় সম্পৃক্তদের ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিলেন শেখ হাসিনা খুলনার বাজুয়া-খুটাখালী শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সমপন্ন বিশ্বনাথে পুলিশের খাঁচায় আ’লীগ নেতা ওয়াহাব আলী মেম্বার জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান  চন্দনাইশে ২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ১জন আওয়ামী তথ্য পাচারকারী আটক চট্টগ্রামে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস ২০২৫ ও জুলাই বিয়ন্ড বর্ডার উদযাপিত জুলাই বিপ্লব দিবস সফলের লক্ষ্যে সীতাকুণ্ড বিএনপির প্রস্তুতি সভা সুনামগঞ্জের ছাতকে হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন  জুলাই শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ৩৯ নং ওয়ার্ড যুব বিভাগ এলকে সিদ্দিকীর কবর জেয়ারত করলেন আসলাম চৌধুরী
বিজ্ঞপ্তিঃ

সারাদেশে  প্রত্যেক  বিভাগ,জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগঃ ই-মেইল-Newsdeshy@gmail.com/Mmdidar7@gmail.com মোবাইলঃ 01714430261/01720834962 WhatsApp & Imo:01878518066/00966509665820 #বিশ্বব্যাপী আপনার প্রতিষ্টান ও পন্যের প্রচার প্রসারে বিজ্ঞাপন দিন

মামলা পরিচালনায় সম্পৃক্তদের ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিলেন শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময়ঃ মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫
  • ২ ভিউ

দেশি নিউজ অনলাইন ডেস্কঃ

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত প্রসিকিউটর, তদন্ত কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং আদালতের কর্মচারীদের ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়টি উঠে এসেছে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলায় শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।

 

গত ২ জুলাই বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয় গতকাল রোববার, যা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকেও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার মূল প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত একটি অডিও ক্লিপ গত বছরের অক্টোবর মাসে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে শেখ হাসিনা ও বুলবুলের কথোপকথন শোনা যায়। এই অডিওটি সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলে নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি নয়; বরং প্রকৃত কথোপকথনেরই রেকর্ড।

গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান। এ মামলার আরেক আসামি বুলবুলও পলাতক।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে শেখ হাসিনা ও বুলবুলের কথোপকথন (ফাঁস হওয়া অডিও) তুলে ধরা হয়েছে। এর এক জায়গায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই সব তালিকা করো আর অফিসারদের বলো আমরা তালিকা পাঠাচ্ছি নেত্রীর কাছে। উনি চাইছেন, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।’ শেখ হাসিনার এই কথার পর বুলবুল বলেন, ‘জি নেত্রী, জি আসসালামু আলাইকুম।’ এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাকরি সামনেও করতে হবে, এটা ভুলে যায় না যেন। এক মাঘে শীত যায় না।’

অডিওতে শেখ হাসিনাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘একটা কথা আমি বলি, তোমাদের কার বাড়ি পোড়াইছে কে?’ তখন বুলবুল বলেন, ‘ওই ওরাই নেত্রী, সবাই, জামাত-বিএনপি সকলেই।’ এরপর শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের বাড়িঘর নাই?’ বুলবুল বলেন, ‘আছে নেত্রী।’ হাসিনা বলেন, ‘তাদের ঘরবাড়ি নাই।’ বুলবুল বলেন, ‘জি, আছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাহলে, সবকিছু কি প্রকাশ্যে করতে হয়?’ বুলবুল বলেন, ‘জি না, না নেত্রী, জি।’ এরপর শেখ হাসিনা, ‘আমাদের ঘরবাড়ি নাই, তাদেরও ঘরবাড়ি থাকবে না।’

কথোপকথনের এই বিষয়টি তুলে ধরে রায়ে বলা হয়েছে, এসব বলে প্রতিদ্বন্দ্বী নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিতে বুলবুলকে উসকে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা ও বুলবুলের কথোপকথনের ওই অডিওর ফরেনসিক পরীক্ষার বাইরেও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা বিষয়টির তদন্ত করেন বলে ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই তদন্ত সম্পর্কে রায়ে বলা হয়েছে, গাইবান্ধার সাংবাদিক সুমন মিয়া ফাঁস হওয়া ওই অডিও প্রথমে পান। অডিওর কথোপকথনটি স্থানীয় সাংবাদিক ও দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বুলবুল। তদন্তে আরও উঠে আসে, ‘এ টিম’ নামের একটি গ্রুপের (অনলাইনভিত্তিক) মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে ও জুমে আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) গোপন সভা হতো। গত বছরের ২৫ অক্টোবর সে রকম একটি সভায় শেখ হাসিনা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

বুলবুলের সঙ্গে কথোপকথনের মাঝামাঝি সময়ে শেখ হাসিনা কী বলেছেন, সেটিও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমার তো সারা বাংলাদেশে ২২৭টি মার্ডার কেস। তোমরা তালিকা করো। ধরো অন্তত ২২৭ জনকে মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। আর এক মামলার যে শাস্তি আর সোয়া ২০০ মামলায় সেই শাস্তি, তাই না? তো ঠিক আছে, সেই শাস্তি নেব কিন্তু তার আগে সোয়া ২০০ হিসাব করে নেব। এটা যেন মাথায় থাকে।’

রায়ে বলা হয়েছে, বুলবুলের কাছে শেখ হাসিনা ২২৭ জনকে হত্যার দৃঢ়সংকল্প প্রকাশ করেছেন। সে জন্য বুলবুলকে তিনি ২২৭ জনের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেছেন।

ট্রাইব্যুনালে তিন মামলা বিচারাধীন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা একটি মামলার এখন সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর একটিতে আওয়ামী লীগের গত দেড় দশকের শাসনামলে গুম–খুনে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায়ও শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।

এই অংশ (কথোপকথন) সম্পর্কে রায়ে বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্টভাবে কারও নাম উল্লেখ না করে কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েছেন হাসিনা। তবে ধারণা করা যায়, শেখ হাসিনা মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের (প্রসিকিউটর, তদন্ত কর্মকর্তা, ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য) ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024

Theme Download From ThemesBazar.Com
Translate »