সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে করা একটি ফেসবুক পোস্ট স্হানীয় প্রশাসনের নজরে এসেছে। গতকাল পোস্টটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
পোস্টটিতে দাবি করা হয়েছে যে, এ বিষয়ে আজ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে কেউ কোনো যোগাযোগ করেনি।
সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে অবস্থিত বিভিন্ন মন্দির উপমহাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থস্থান হিসেবে পরিগণিত। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা নিয়মিত এ পাহাড় ও মন্দিরসমূহে দর্শন ও পূজা-অর্চনার জন্য আগমন করেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে সকল ধর্মের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে আসছে। পবিত্র তীর্থস্থানটির প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ, অনুভূতি ও আবেগকে সীতাকুণ্ডবাসী গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান দিয়ে থাকে। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে সীতাকুণ্ডবাসী কখনোই সমর্থন করে না।
আজ রবিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে চন্দ্রনাথ মন্দির এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে, এবং সেখানে মসজিদ নির্মাণের কোনো উদ্যোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ও কেউ চন্দ্রনাথ পাহাড়ে মসজিদ তৈরী করতে যায়নি।
সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে সীতাকুণ্ড প্রশাসন আশ্বস্ত করছে চন্দ্রনাথ মন্দির এলাকায় মসজিদ নির্মাণের কোনো অনুমতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি,হবেও না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব, প্রোপাগান্ডা বা অপপ্রচার ছড়িয়ে সীতাকুণ্ডে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার যে কোনো অপচেষ্টা আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে দমন করা হবে। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম জানান,
সবাইকে অনুরোধ করছি, আমাদের সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন। ধর্ম-বর্ণের ভিন্নতা যেন বিভেদের কারণ না হয়ে ভালোবাসা ও সহমর্মিতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে। আসুন, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের সুন্দর উদাহরণ গড়ে তুলি। আমরা সকল ধর্মের লোকজন শান্তিতে বসবাস করতে অঙ্গীকার বদ্ধ।
WWW.DESHENEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply