সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। ১ জুন রোববার জগন্নাথপুর সদর বাজারে পশুর হাট বসে। হাটে তুলনামূলকভাবে দেশীয় গরুর আমদানী বেশি থাকলেও কাঙ্খিত বেচাকেনা হচ্ছে না বলে বিক্রেতারা জানান। বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাটে গরু নিয়ে আসেন ব্যবসায়ী ও গৃহস্থেরা। রানীগঞ্জ রোড থেকে পৌর পয়েন্ট হয়ে টিএন্ডটি রোড পর্যন্ত বসে পশুর হাট। হাটে সারিবদ্ধভাবে গরু সাজিয়ে রাখেন বিক্রেতারা। দুপুরের দিকে বৃষ্টি কিছুটা থামলে হাটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। হাটে হেঁটে হেঁটে গরু পছন্দ করেন ক্রেতারা। পছন্দ হলে শুরু হয় দামদর কষাকষি। দামে হলে বেচাকেনা হয়।
তবে তুলনামূলকভাবে দাম কম থাকলেও কাঙ্খিত বিক্রি হচ্ছে না বলে বিক্রেতারা জানান। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, ঈদের আরো ৬ দিন বাকি রয়েছে। তাই অনেক ক্রেতা এখনো গরু কিনতে চাচ্ছেন না। একদম শেষ সময়ে বেচাকেনা বাড়বে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ক্রেতাদের মধ্যে কয়েকজন জানান, এখনো ঈদের বেশ বাকি আছে। এখন গরু কিনে রাখারই জায়গা নেই। হাটে এসেছি শুধু দামদর জানার জন্য। দাম কম হলে এখন কিনবো, না হলে ঈদের একদিন আগে কিনবো।
হাট ইজারাদারের পক্ষে দিলবর হোসেন বলেন, হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। গরু প্রতি মাত্র এক হাজার টাকা আসিল ফিস নেয়া হচ্ছে। সর্বনিম্ন ৪৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকার মধ্যে প্রতিটি গরু বেচাকেনা হচ্ছে।
তুলনামূলকভাবে গরুর দাম আছে। হাটে গরুর আমদানীর তুলনায় কাঙ্খিত বেচাকেনা হয়নি। আশা করছি, আগামী বুধবারের হাটে বেচাকেনা বাড়বে।