শান্তি শৃঙ্খলা ফিরলেও নগরীর সাগরদিঘীরপার ড্রীম টাওয়ার থেকে এখনো পুলিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়নি। তাই ভূমির দখল বুঝিয়ে দিয়ে মোতায়েনকৃত ফোর্স সরিয়ে নিতে পুলিশ কমিশনার বরাবরে দরখাস্ত দিয়েছেন ড্রীম সিটির মালিকদের পক্ষের আমোক্তার ছমিরুন নেছা। তিনি জালালাবাদ থানাধীন আখালিয়া নোয়াপাড়া বন্ধন ১০/বি বাসার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পুলিশ কমিশনার বরাবরে দরখাস্তে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি সৃষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজধারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারায় বিবিধ মামলা (নং- ০৩/২৫) দায়ের করি। ফলে আদালত উক্ত মামলাটি থানায় প্রেরণ করতঃ নির্মাণাধীন ড্রীম টাওয়ারে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করে পরবর্তীতে ২৭ জানুয়ারি কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) 'কে প্রেরণ করেন। যে কারণে কোতোয়ালী থানার ওসি নির্মাণাধীন ড্রীম টাওয়ারের অফিসে পুলিশ মোতায়েন করেন। এতে ভূমিতে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসায় উক্ত মামলাটি প্রত্যাহারসহ ছমিরুন নেছা তার বর্ণিত ভূমি থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে দখল বুঝিয়া দেওয়ার জন্য ১১ মার্চ আদালতে আবেদন করেন।
আদালত আবেদন পর্যালোচনা করেন এবং যেহেতু উক্ত মামলায় Civil Status-quo জারি আছে। তাছাড়া অত্র মামলার তপশীল বর্ণিত র্ণিত ভূমি নিয়া ১ম পক্ষ বাদী হয়ে অত্র মামলার ২য় পক্ষগণের বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে (স্বত্ব মোকদ্দমা (নং-৬৬/২০২৫) দায়ের করিয়াছেন। বর্ণিত মোকদ্দমাটি বর্তমানে ওই আদালতে চলমান রয়েছে এবং উক্ত মোকদ্দমায়আদালত থেকে বর্তমানে Status-quo জারি আছে। এর ফলে ২য় পক্ষগণ নালিশা ভূমিতে বাদীগণের শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে কোনো বাধা বিঘ্ন প্রদান করেনি এবং করার কোন সম্ভাবনা নাই। এমতাবস্থায় উক্ত নির্মাণাধীন ড্রীম টাওয়ারে থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করার জন্য ওসি জিয়াউল হক এবং এসআই মিজানুর রহমানকে বারবার বলা সত্ত্বেও এবং আদালতের কাগজ দেওয়ার পরও ভূমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া এবং পুলিশ প্রত্যাহারের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উপরম্ভ হয়রানি করায় ছমিরুন নেছা ও তার অংশীদারগণ অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, মর্মে পুলিশ কমিশনার বরাবরে দরখাস্তে উল্লেখ করেন। তাই কোতোয়ালী মডেল থানাধীন সাগরদিঘীর পাড় সাকিনস্থ নির্মাণাধীন ড্রীম টাওয়ার হতে পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদানে পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। দরখাস্তকারী