সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ

চট্রগ্রাম সীতাকুণ্ডে মধ্যরাতে যানজটে আটকে পড়া মাইক্রো সহ চারটি গাড়ীতে গ্লাস ভেঙ্গে টাকাপয়সা, মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

স্হানীয় ও ভূক্তভোগীদের কাছথেকে জানাযায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এসকেএম জুট গেইট এলাকায় তীব্র যানজট হলে ১০/১২ জনের একটি ছিনতাইকারী গ্রুপ হঠাৎ দাড়িয়ে থাকা এক নোহা মাইক্রোতে হামলা চালায়ে গাড়ীর গ্লাস ভেঙ্গে যাত্রীদের মোবাইল,টাকাপয়সা,স্বর্ণের আংটি,দুল ছিনিয়ে নেয়।গাড়ীতে থাকা ভূক্তভোগী একটি উন্নয়ন সংগঠন ডি ডি আর সি 'র নির্বাহী পরিচালক শহীদুল ইসলাম প্রতিনিধি কে জানায়,তার সাথে সংগঠনের ফিল্ড ট্রেইনার নুরুন্নাহার ছিল। সেন্টার ফর ডিজএ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট(সিডিডি) এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম ফেরার পথে বাড়বকুণ্ডের এসকেএম জুট এলজকায় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে।এসময় যানজটে গাড়ী দাড়ানো ছিল।ছিনতাইকারীরা তাদের গাড়ীর গ্লাস সবগুলো ভেঙ্গে ফেলে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল,টাকাপয়সা,স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়।তাদের গাড়ীতে ছিনতাইয়ের পর পাশাপাশি আরো ৩/৪ টি কারে ছিনতাই করতে দেখেছেন।
এব্যাপারে তিনি সীতাকুণ্ড থানায় অভিযোগ করেছেন।ছিন্তাইকারীদের মধ্যে একজন বয়স্ক মুখোশদারী ছিল।
ইদানিং রাতে উপজেলার ভাটিয়ারী,কুমিরা, বাড়বকুণ্ড,সীতাকুণ্ড সদর,দারোগাহাট এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েথাকে।এই সুযোগটি ছিনতাইকারীরা কাজে লাগিয়ে তাদের অপকর্ম করে থাকে।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মোঃ মোমিন আমাদের সময়কে জানায়, জনবল,ও গাড়ী স্বল্পতার কারনে সব জায়গায় নিরাপত্তার ব্যবস্হা ব্যহত হয়। রাতে বিভিন্ন ষ্টীল কারখানার লোহা বোঝাই লড়ি গাড়ী বেড়ে যায়।অনেক সময় পুলিশের গাড়ীও যানজটের কারনে দীর্ঘক্ষন থেমে থাকে।তারপর ও ছিনতাই রোধে কঠোর দমনে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে বুধবার গভীররাতে শেখপাড়াস্হ সাংবাদিক সালাউদ্দিনের বাড়ীতে ১০/১২ জনের একটি ডাকাতদল দড়জা ভেংগার চেষ্টা করে।এলাকাবাসীর শোরচিৎকারে তারা পালিয়ে যায়।