চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে মাদামবিবিরহাট শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ২১ লাখ ২০ হাজার৭৬৫ টাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অবৈধভাবে সরিয়েছেন বা খরচ করেছেন এই অভিযোগে চট্টগ্রাম দুদকে একটি অভিযোগ (৫ অক্টোবর ২০২৩) ইং দায়ের করেছেন স্হানীয় মোঃ মুজিবুর হক,তদন্ত ও শুনানি কাজ চলছে। যেকোন সময় আটক হতে পারেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও স্হানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে,বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ সামছুল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে এক নোটিশে মোহাম্মদ সামছুল আলম কে বাদ দিয়ে মোহম্মদ আলম নামে এক শিক্ষানুরাগী ও নেতা কে ২০২২-২৩ ইং মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।
অবৈধভাবে বাদ দিয়েছে অভিযোগ এনে সামছুল আলম উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন, সভাপতির পদ বলবৎ রাখতে মোহাম্মদ আলম বিবাদী হিসেবে মামলাটি পরিচালনা করেছেন,উচ্চ আদালত বাদীর আবেদন শুনানী শেষে খারিজ করে দিলে পূনরায় তিনি আর আপিল করেননি। মোঃ আলমই চলমান দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মামলা চলাকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলম সভাপতি পদ নিয়ে মামলা পরিচালানা ব্যায়, স্কুলের তহবিল থেকে নিয়ে খরচ করেছেন তিনি।যা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বলছে ইহা সম্পূর্ন অবৈধ।
সীতাকুণ্ড উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা আলম সরকারের কাছে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রতিনিধি কে জানান,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বা যেকোন পদের বিষয়ে মামলার খরচ স্ব- স্ব ব্যাক্তিই বহন করবেন,বিদ্যালয় এক টাকাও বহন করার সুযোগ নেই।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক ডঃবিপ্লব গাঙ্গুলীর কাছে টাকা আত্মসাৎ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিনিধি কে জানায়,বিদ্যালয়ের জায়গা ও সম্পদ রক্ষায় মামলার খরচ বিদ্যালয় বহন করবে তবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সম্পাদক বা কোন পদ রক্ষায় মালমায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিই বহন করবে বিদ্যালয় বহন করার সুযোগ নেই।
দুদকের চট্টগ্রাম-২ কার্যালয়ের উপ- পরিচালক আতিকুল আলম প্রতিনিধি কে জানায়, শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগটি ঢাকা সদর দপ্তর থেকে অনুমোদন এনে তদন্ত চলছে,টাকাগুলো কে সরিয়েছে, অন্য কেউ সম্পৃক্ত রয়েছে কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলম জানায়,সভাপতির পদ নিয়ে সামছুল আলম মামলা করেছে,আমি বিদ্যালয়ের পক্ষে মামলা মোকাবেলা করেছি, খরচ তো বিদ্যালয়ই বহন করবে।এই অল্প সময়ে এতোগুলো টাকা কোথায় খরচ হলো এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
বিদ্যালয়ের সম্প্রতি অবসর প্রাপ্ত সাবেক প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী আজম প্রতিনিধি কে জানায়,তিনি প্রধান শিক্ষক থাকাকালে বিদ্যালয়ের অনেক উন্নয়ন করেছেন, স্হানীয় এমপি দিদারুল আলমের সহযোগীতায়,স্হানীয় শিক্ষানুরাগী মোঃ আ ফ ম ইউছুফ, ইন্জিঃ আবু তাহের,শিল্পপতি সান্টু সহ অনেক শিক্ষানুরাগীদের সহযোগীতায়, ৬ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে এই বিদ্যালয়ে,করুনাকালীন দূর্যোগের কোন শিক্ষককে অর্থাভাবে কষ্ট করতে হয়নি।
সভাপতির পদ নিয়ে মামলায় আমি এক টাকাও দেইনি সভাপতিকে,২২ সালের ডিসেম্বরে অবসর নেয়ার আগে
আমি ১৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৭১ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে বুঝিয়ে দিয়েছি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কে, আমি রেখে আসা টাকা পরে লুটপাট হয়েছে, বিদ্যালয়ের টাকা লুটপাটের অভিযোগ পত্রে আমাকেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সম্পৃক্ত করায় আমি হতবাক হয়েছি।
আমি বিদ্যালয় থেকে অবসরে যাওয়ার পর বিদ্যালয়ে রেখে আসা ফান্ড লুটপাট হয়ে গেছে। তিনিও লুটপাটকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া হোক দাবী করেন।এলাকার সচেতন মহলেরও দাবি বিদ্যালয়ের লুটপাট হওয়া টাকা উদ্ধার করা হোক।